সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারী তুমি

 


নারী তুমি আর সহ্য করো না বিষাদ পৃথিবীর কুমন্ত্রণা,
চারদেওয়ালে বন্দি থেকে স্বপ্ন গুলো কে দিও না যন্ত্রণা॥
ভাগ্য দোষ বলে বিধাতার ওপর চাপিও না দুঃখের বোঝা,
নারী তুমি নিজেই করো নিজের ভাগ্য রচনা॥


বিষন্ন সমাজের লক্ষণ রেখা  ভেদ করিয়া তুমিও সু-শিক্ষা লবে,
দশ জনের একজন হবে॥মাথা উঁচু করে বাঁচবে॥
অন্ধকারে সৃষ্টি অন্ধকারে শেষ নহে জীবন,
শূন্য ধারা তুমি বিহীন॥


নারী তুমি জগত্ জননী,
কখনো মাতা,কখনো কন্যা,কখনো বা রমনী॥
জ্ঞন হইলে জানি নারী তুমি সষ্টার সৃষ্টি,
দেশ-দেশান্তর কহে তুমি অলৌকিক শক্তি॥


স্বাধীন দেশে আজও পরাধীন,
তোমার স্বপ্ন তোমার ইচ্ছে পরিপূর্ণ সমাজে বড্ড কঠিন॥
তুমি আজও ধর্ষণের শিকার নির্লজ্জ পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে,
তাই দুর্গতিনাশিনী রূপে সজ্জিত থাকো আঘাতের বিরুদ্ধে


রাস্তা দিয়ে একা হাঁটলে যে সব পুরুষ বলে তোমার অসতী,
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হও লিপ্ত,তুমি হও প্রতিবাদী॥
ফিরিয়ে আনো তোমার স্বাধীনতা হও ঝাঁসির রানী,
শেষ করো অত্যাচারের ঘানি॥


যে সংসারে পূজিত তুমি,
সেথা মুর্তিরূপে বন্দি ॥
তুমি বিহীন ছন্নছাড়া ধরণী,
তুমি বিহীন অন্ধ সকল পুরুষ,তুমি চোখের মনি॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চৌষট্টি ছায়া: যোগিনীদের উপাখ্যান

অধ্যায় ১: গন্ধ, গাঁজা, এবং এক ঈশ্বরের জন্ম হিমালয়ের কোলে, এক চিরশান্ত দুপুর। সূর্য যেন ক্লান্ত হয়ে পাহাড়ের ঢালে একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। সেই পাহাড়ে, বনের গভীরে, একা এক ঋষিসদৃশ যুবক উঠে বসে পড়েছিল একটি বটগাছে। তাঁর গায়ে ছিল পশুর চামড়া, চুল জটাবদ্ধ, চোখে গভীর নিস্পৃহতা। তাঁর নাম তখন কেউ জানত না। তিনি ছিলেন নামহীন, ঠিকানাহীন, ক্লান্ত এক পথিক। শুধু পৃথিবী নয়, দেবলোকেও তিনি ছিলেন উপেক্ষিত। তিনি সন্ন্যাসী—ভবঘুরে, নির্লিপ্ত। কারও আহ্বানে সাড়া দেন না, কারও নিয়ম মানেন না। কিন্তু সেদিন, কিছু একটার জন্য তিনি নিজেকে নিয়েছিলেন গাছের ডালে তুলে, পাহাড়ের শিখরে—ক্লান্ত, নিঃসঙ্গ, কিছু খুঁজছেন যেন। ঠিক তখনই হাওয়ার দোলায় ভেসে এলো এক অপূর্ব সুঘ্রাণ—কিছুটা ধোঁয়াটে, কিছুটা কাঁচা পাতার মতো, কিছুটা মাটির ভেজা ঘ্রাণের মতো। তিনি চোখ বন্ধ করলেন। ঘ্রাণ তাঁকে কিছু একটা মনে করিয়ে দিচ্ছে—এক ধরনের বিস্মৃতি, যেন সময় থেমে যায় এমন এক মুহূর্তের আমন্ত্রণ। তিনি নামলেন গাছ থেকে, ধীরে ধীরে এগোলেন সুঘ্রাণের উৎসের দিকে। এক পাহাড়ি গুহার চৌকাঠে তিনি দেখতে পেলেন পুড়ে যাওয়া কিছু পাতার স্তূপ। পাতাগুলো ছিল গাঁজা। তিনি কুড়িয়ে নিলেন এক...

কোনও একজনের বিরহে

                                                                                    ১ মনে পড়ার তো কোনও কারণ নেই তবু কথা গুলো                                       ২ কথা গুলো একএকটি বিষের ছোবল, একদা - নীল ময়ূর সোনিলী হরিণ পাখি ও কুকুর-বেড়ালের গায়ে ছুঁড়ে ফেলা হলো সেই ছোবল একএক করে তাঁরা সবাই মারা গেলো                 ...

ঈশ্বর ও প্রেমিকার সংলাপ

– ‘সে যদি তোমাকে ভালোবেসে অশান্তি'তে মারে?’ ভাগ্য দোষে মরে যাবো তবে — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে অপমান?’ শোকেতে, আমি শোকেতে খানখান — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে গালাবালি?’ বাথরুমে বসে বসে কেঁদে নেবো খালি — ‘কাঁদবে?– আচ্ছা, ঠক ঠক করে ওঠে যদি বাথরুমের দরজার?’ মুছতে মুছতে জল ধুয়ে নেবো চোখের পাতা — ‘যদি পাতা জুড়ে ব্লক রাখে সোশ্যাল মিডিয়া তোকে?’ কী আর করব? কবিতায় লিখব ওকেই বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও? — ‘যাও, আজীবন তুমি আশীষের, আর আশীষ তোমার অভাব ভোগ করো!’