সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

চৌষট্টি ছায়া: যোগিনীদের উপাখ্যান

অধ্যায় ১: গন্ধ, গাঁজা, এবং এক ঈশ্বরের জন্ম হিমালয়ের কোলে, এক চিরশান্ত দুপুর। সূর্য যেন ক্লান্ত হয়ে পাহাড়ের ঢালে একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। সেই পাহাড়ে, বনের গভীরে, একা এক ঋষিসদৃশ যুবক উঠে বসে পড়েছিল একটি বটগাছে। তাঁর গায়ে ছিল পশুর চামড়া, চুল জটাবদ্ধ, চোখে গভীর নিস্পৃহতা। তাঁর নাম তখন কেউ জানত না। তিনি ছিলেন নামহীন, ঠিকানাহীন, ক্লান্ত এক পথিক। শুধু পৃথিবী নয়, দেবলোকেও তিনি ছিলেন উপেক্ষিত। তিনি সন্ন্যাসী—ভবঘুরে, নির্লিপ্ত। কারও আহ্বানে সাড়া দেন না, কারও নিয়ম মানেন না। কিন্তু সেদিন, কিছু একটার জন্য তিনি নিজেকে নিয়েছিলেন গাছের ডালে তুলে, পাহাড়ের শিখরে—ক্লান্ত, নিঃসঙ্গ, কিছু খুঁজছেন যেন। ঠিক তখনই হাওয়ার দোলায় ভেসে এলো এক অপূর্ব সুঘ্রাণ—কিছুটা ধোঁয়াটে, কিছুটা কাঁচা পাতার মতো, কিছুটা মাটির ভেজা ঘ্রাণের মতো। তিনি চোখ বন্ধ করলেন। ঘ্রাণ তাঁকে কিছু একটা মনে করিয়ে দিচ্ছে—এক ধরনের বিস্মৃতি, যেন সময় থেমে যায় এমন এক মুহূর্তের আমন্ত্রণ। তিনি নামলেন গাছ থেকে, ধীরে ধীরে এগোলেন সুঘ্রাণের উৎসের দিকে। এক পাহাড়ি গুহার চৌকাঠে তিনি দেখতে পেলেন পুড়ে যাওয়া কিছু পাতার স্তূপ। পাতাগুলো ছিল গাঁজা। তিনি কুড়িয়ে নিলেন এক...

চার চার আটশো বছরের শোক

এমন কিছুই ছিল না যে আমাকে শূন্য হতে হয়েছিল শূন্য শূন্য - শূন্য মহাশূন্য দীর্ঘদিন কেঁদে ছিল বিছানা তারপর কোন এক সকালের রোদে উঠনের পাশে নিমগাছে বাস-করা দুটো পাখি বিচ্ছিন্ন হলে একটা দীর্ঘশ্বাস - বর্ণমালার উড়াল এই দ্যাখে আমার ভিতরের কেউ যেন চিৎকার করে বলছে আশীষ সম্পর্কের মায়ায় জড়িয়ে থাকতে পারে.. দিনের পর দিন শোকের ভিতর ঘুমিয়ে থাকতে পারে না।

কোনও একজনের বিরহে

                                                                                    ১ মনে পড়ার তো কোনও কারণ নেই তবু কথা গুলো                                       ২ কথা গুলো একএকটি বিষের ছোবল, একদা - নীল ময়ূর সোনিলী হরিণ পাখি ও কুকুর-বেড়ালের গায়ে ছুঁড়ে ফেলা হলো সেই ছোবল একএক করে তাঁরা সবাই মারা গেলো                 ...

ঈশ্বর ও প্রেমিকার সংলাপ

– ‘সে যদি তোমাকে ভালোবেসে অশান্তি'তে মারে?’ ভাগ্য দোষে মরে যাবো তবে — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে অপমান?’ শোকেতে, আমি শোকেতে খানখান — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে গালাবালি?’ বাথরুমে বসে বসে কেঁদে নেবো খালি — ‘কাঁদবে?– আচ্ছা, ঠক ঠক করে ওঠে যদি বাথরুমের দরজার?’ মুছতে মুছতে জল ধুয়ে নেবো চোখের পাতা — ‘যদি পাতা জুড়ে ব্লক রাখে সোশ্যাল মিডিয়া তোকে?’ কী আর করব? কবিতায় লিখব ওকেই বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও? — ‘যাও, আজীবন তুমি আশীষের, আর আশীষ তোমার অভাব ভোগ করো!’

ডাক

  দু র্জয় মরুভূমি লাফিয়ে লাফিয়ে এলাম মাতৃগর্ভ থেকে, করবী ঝড়ে । আমার দিকে চেয়ে দস্যুর লালচোখ অজস্র খড়কুটো । দু'পাশে কাঁটা মাছের মুণ্ড এই প্রথম পৃথিবী আমায় উৎসর্গ করল- রক্তনদী, লাল জবা । আমি প্রণাম সেরে উঠে পড়লাম নৌকায় পাশে ঝাউবনের ঘেরা চিরমুগ্ধ গ্রাম অর্ধস্বরে ভেসে আসছে নারীর ডাক কে যে ডাকে পিছু ফিরে বারবার..

প্রিয় শহর ও পিনকোড আশীষ মাহাত

আধুনিক কবিতার বই প্রিয় শহর ও পিনকোড আশীষ মাহাত "সবুজ পাতা, মায়ের মুখ, মাটির শেকড় মনে রেখো আমায় প্রিয় শহর ও পিন কোড..…." প্রিয় শহর ও পিনকোড  - Priyo Shohor O Pincode on Flipkart & Amazon https://dl.flipkart.com/s/Nkyg19uuuN   https://amzn.eu/d/ionwtiO

প্রিয় শহর ও পিনকোড

 "কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না।" সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রিয় লাইনটি ছুঁয়ে গেছে প্রিয় শহর ও পিনকোড এ আমার শরীরে লকলকে আগুন, পোড়া কাঠের গন্ধ। কি আশ্চর্য সুন্দরী মানবী তুমি! আমাকে প্রতিদিন যত্ন করে কাঁদাও। মাঝে মাঝে কিছু না বলা কথা জমা হয়ে যায় , যা বলতে গিয়েও বলতে পারিনি। শুধু কিছু নীরবতা আর নিঃসঙ্গতা একাকীত্বই আমার না বলা সব কথা।                   মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাও, ঘুমের ঘোরে তুমি, মাইগ্রেনের যন্ত্রণার আদর তবুও চাইনি আমার কষ্ট কাউকে স্পর্শ করুক, চাই না আমাকের হারানোর যন্ত্রণা কেউ নির্বাক যাক                     প্রিয় শহর ও পিনকোড তব্ধ দম্ভ আগুন                     প্রথম চুম্বন ঝড়ের বৃষ্টি ভেজা রাত -                     এই সব রাতে মনে হয় 'নেশা করার পরেও মানুষ সিগারেটে আগুন জ্বালায় আরও বেশি মাতাল হয়, ঘুম আসে । স্মৃতি জমা হয়       ...