সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ও হে হিটলার স্বপ্ন দেখাতে দোষ কোথায়





রোজ ভাবি একদিন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু কিছুতেই আর ঠিক হয়ে উঠে না । বর্ষা আসে বর্ষা যায় ভেসে যায় চেনা মুখ ।

       আমি রোজ ১১ মাইল পথ হেঁটে বাড়ি ফিরি এবং ঘুমের ঘোরে হাঁপিয়ে উঠি আবার কান্না ভেজা চোখ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি । আমি জানি না কেন আজকাল এই শহরের রঙ আমার চোখে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট লেগে থাকে । তসলিমা নাসরিন এর মতো "ভালোবাসায় আজকাল মন বসে না । ভালোবাসা আজকাল তেমন করে মালার মতো গাঁথে না । যেমন বাঁধে বেদনার দীর্ঘ সুতো ।"

       

       এই যে আমি ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখছি

     

  পাহাড়ে ঘেরা মাঠ, নদী , কাশবন, মাটির লাল ধুলো, গোলাপী চাঁদ, বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মায়ের মুখ, প্রেমিকার ঠোঁটের অসম্ভব সুন্দর তিল  

  

                                       রাজা হরিশচন্দ্রের আগুনে পোড়া মাছ জলে ভেসে যাওয়ার মতো, জলে ভেসে যাচ্ছে আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত এবং পরের পর মানুষ জন্ম। 

    আপনার হাতে জাদু আছে জাহাপনা পৃথিবীতে কোন সম্পর্ক আপনা-আপনি তৈরি হয় না, আপনি সেই সত্যযুগ থেকে এই কলি যুগের শেষ প্রহর অব্দি ভাগ্য চক্রের রথ ঘুরিয়ে নিয়ে আসছেন আমাদের স্বপ্নের ভিতর একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু কবে আর ঠিক হবে মশাই !

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চৌষট্টি ছায়া: যোগিনীদের উপাখ্যান

অধ্যায় ১: গন্ধ, গাঁজা, এবং এক ঈশ্বরের জন্ম হিমালয়ের কোলে, এক চিরশান্ত দুপুর। সূর্য যেন ক্লান্ত হয়ে পাহাড়ের ঢালে একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। সেই পাহাড়ে, বনের গভীরে, একা এক ঋষিসদৃশ যুবক উঠে বসে পড়েছিল একটি বটগাছে। তাঁর গায়ে ছিল পশুর চামড়া, চুল জটাবদ্ধ, চোখে গভীর নিস্পৃহতা। তাঁর নাম তখন কেউ জানত না। তিনি ছিলেন নামহীন, ঠিকানাহীন, ক্লান্ত এক পথিক। শুধু পৃথিবী নয়, দেবলোকেও তিনি ছিলেন উপেক্ষিত। তিনি সন্ন্যাসী—ভবঘুরে, নির্লিপ্ত। কারও আহ্বানে সাড়া দেন না, কারও নিয়ম মানেন না। কিন্তু সেদিন, কিছু একটার জন্য তিনি নিজেকে নিয়েছিলেন গাছের ডালে তুলে, পাহাড়ের শিখরে—ক্লান্ত, নিঃসঙ্গ, কিছু খুঁজছেন যেন। ঠিক তখনই হাওয়ার দোলায় ভেসে এলো এক অপূর্ব সুঘ্রাণ—কিছুটা ধোঁয়াটে, কিছুটা কাঁচা পাতার মতো, কিছুটা মাটির ভেজা ঘ্রাণের মতো। তিনি চোখ বন্ধ করলেন। ঘ্রাণ তাঁকে কিছু একটা মনে করিয়ে দিচ্ছে—এক ধরনের বিস্মৃতি, যেন সময় থেমে যায় এমন এক মুহূর্তের আমন্ত্রণ। তিনি নামলেন গাছ থেকে, ধীরে ধীরে এগোলেন সুঘ্রাণের উৎসের দিকে। এক পাহাড়ি গুহার চৌকাঠে তিনি দেখতে পেলেন পুড়ে যাওয়া কিছু পাতার স্তূপ। পাতাগুলো ছিল গাঁজা। তিনি কুড়িয়ে নিলেন এক...

কোনও একজনের বিরহে

                                                                                    ১ মনে পড়ার তো কোনও কারণ নেই তবু কথা গুলো                                       ২ কথা গুলো একএকটি বিষের ছোবল, একদা - নীল ময়ূর সোনিলী হরিণ পাখি ও কুকুর-বেড়ালের গায়ে ছুঁড়ে ফেলা হলো সেই ছোবল একএক করে তাঁরা সবাই মারা গেলো                 ...

ঈশ্বর ও প্রেমিকার সংলাপ

– ‘সে যদি তোমাকে ভালোবেসে অশান্তি'তে মারে?’ ভাগ্য দোষে মরে যাবো তবে — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে অপমান?’ শোকেতে, আমি শোকেতে খানখান — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে গালাবালি?’ বাথরুমে বসে বসে কেঁদে নেবো খালি — ‘কাঁদবে?– আচ্ছা, ঠক ঠক করে ওঠে যদি বাথরুমের দরজার?’ মুছতে মুছতে জল ধুয়ে নেবো চোখের পাতা — ‘যদি পাতা জুড়ে ব্লক রাখে সোশ্যাল মিডিয়া তোকে?’ কী আর করব? কবিতায় লিখব ওকেই বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও? — ‘যাও, আজীবন তুমি আশীষের, আর আশীষ তোমার অভাব ভোগ করো!’