সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লং ঘূর্ণি

  আজ-কাল একদমই কিছু ভালো লাগে না, সারাদিন বসে থাকি শোকের ভিতর পাশের পাড়াতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাঝি, মুণ্ডার দল মাঠ থেকে ফিরে গোধূলির আকাশে গান ধরে হু হু করে বাতাসে ভেসে আসে তার মিষ্টি সুর   । আমি বাতাসে কান পেতে শুনি, রাত্রি ঝিমিয়ে আসে যত, সুগভীর মায়ায় জড়িয়ে পড়ি এবং আমার নাভিকুণ্ডলী থেকে ভেসে আসে ভালোবাসার গন্ধ, ভালোবাসার গন্ধে আমার মাথার ভিতর চোদ্দহাজার উইপোকা কিলবিল করে উঠে ততক্ষণাত নাটকের পোশাক খুলে বসে পড়ি ক্ষতর কাছে । কোন এক সময় মা মনসাদেবীর বিষধারী এক কন্যা বুকের বাঁ স্তন্য পান করে করে বড় হয়ে উঠেছিল আমার ভিতর

শুভঙ্কর বিশ্বাস আশীষ মাহাত এক আভাস মাত্র

  আমাদের দেখা হবে আবার কোন একদিন এই শালনের মৃদু হাওয়ায়                                        গ্রহ-নক্ষত্র এক হলে জোয়ারের নদী, অসুখে ভারি হয়ে উ ঠা বুক ধুলোবালি-শূন্যতার, অপেক্ষা পুড়িয়ে   মার হাতে লেপা চাতালে বলবো দুই নীরব শ্রোতা , থালা ভরতি নি ঃ শ্বাস উড়িয়ে   ফিসফিসিয়ে সুখ-দুঃখের কথা বলবে ঈশ্বর .....   কাঁচা শালপাতায় খাবো, ভিজিয়ে রাখা ছোলা শুনশান বুকে বয়ে যাবে নিরীহ নদী আইনস্টাইন হয়ে পারিনি কেউ সমাধান করতে জীবনের  কঠিন পরিস্থিতির সিঁড় ি

প্রিয় শহর ও পিন কোড

“কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!”   শহর ছাড়ার আগে, দু’মুঠো মাটি হাতে নিয়ে বলেছি তাড়াতাড়ি ফিরবো   প্রেমিকাকে কথা দিয়েছি জন্মদিনে পাশে থাকবো   মাকে ছুঁয়ে বলেছি তোমার মন খারাপ হলেই  “একছুট্টে তেরো নদী”   দূর থেকে বাবাকে কিছু বলার আগেই চশমার ঝাপসা কাঁচে ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছে বিষন্নতা,    আমার এই তিন সংসার মা-বাবা, প্রেমিকা ও রোজগার   আজ হাজার হাজার সময় চলে যাচ্ছে দূরসীমান্তে দুকূল ছাপিয়ে উঠছে নদী, ঘেমে উঠছে হাতের তালু   সবুজ পাতা, মায়ের মুখ, মাটির শেকড় মনে রেখো আমায় প্রিয় শহর ও পিন কোড..….