সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

স্বপ্নে দেখা মেয়েটার জীবন

 


ভোরের যখন ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে,
আমার স্বপ্নে দেখা  মেয়েটা তখনও স্বপ্নে বিভোর হয়ে শুয়ে॥
স্বপ্নে দেখে সংসারের ঘানি টানটে টানটে বাবার মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি,
চোখ দিয়ে জল গড়ে ভেসে ওঠে দুঃখী মায়ের মুখশ্রী॥


মেয়েটার তখনও ঘুম ভাঙেনি মধ্যাবৃত্ত সংসারে খুঁজে একটু শান্তি,
শূন্যতার মাঝের দিন কাটে তবু স্বপ্নেই থাকে মেয়েটি॥
এবাড়ি ওবাড়ি কাজ করে দু'বেলা পান্তা ভাত জুটে,
তবু ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াবে বলে টাকা জোগায় স্বপ্নে॥


মেয়েটির বয়স বেড়ে ওঠছে সংসারের চাপে,
গৃহে সুখে নিজেকে ভাসিয়েছে পঞ্চনদে॥
চোখের জলে বালিশ ভিজে,শুধু বালিশ বুঝে তার ব্যার্থতাকে,
পুড়ে মরে বিষাদ জ্বালায় হাজার খানা স্বপ্ন নিয়ে॥


মার ক্যান্সাররের টাকা যোগানে কিছু কাল হয় সে নিশাচর প্রানী,
দুঃখের কপাল তার দুঃখেই তাহার নিত্য সঙ্গী॥
আবার কোথায় হারিয়ে যায় সবার থেকে,
ভাইকে মানুষ করতে টাকার জোগাড়ে॥

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

চৌষট্টি ছায়া: যোগিনীদের উপাখ্যান

অধ্যায় ১: গন্ধ, গাঁজা, এবং এক ঈশ্বরের জন্ম হিমালয়ের কোলে, এক চিরশান্ত দুপুর। সূর্য যেন ক্লান্ত হয়ে পাহাড়ের ঢালে একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। সেই পাহাড়ে, বনের গভীরে, একা এক ঋষিসদৃশ যুবক উঠে বসে পড়েছিল একটি বটগাছে। তাঁর গায়ে ছিল পশুর চামড়া, চুল জটাবদ্ধ, চোখে গভীর নিস্পৃহতা। তাঁর নাম তখন কেউ জানত না। তিনি ছিলেন নামহীন, ঠিকানাহীন, ক্লান্ত এক পথিক। শুধু পৃথিবী নয়, দেবলোকেও তিনি ছিলেন উপেক্ষিত। তিনি সন্ন্যাসী—ভবঘুরে, নির্লিপ্ত। কারও আহ্বানে সাড়া দেন না, কারও নিয়ম মানেন না। কিন্তু সেদিন, কিছু একটার জন্য তিনি নিজেকে নিয়েছিলেন গাছের ডালে তুলে, পাহাড়ের শিখরে—ক্লান্ত, নিঃসঙ্গ, কিছু খুঁজছেন যেন। ঠিক তখনই হাওয়ার দোলায় ভেসে এলো এক অপূর্ব সুঘ্রাণ—কিছুটা ধোঁয়াটে, কিছুটা কাঁচা পাতার মতো, কিছুটা মাটির ভেজা ঘ্রাণের মতো। তিনি চোখ বন্ধ করলেন। ঘ্রাণ তাঁকে কিছু একটা মনে করিয়ে দিচ্ছে—এক ধরনের বিস্মৃতি, যেন সময় থেমে যায় এমন এক মুহূর্তের আমন্ত্রণ। তিনি নামলেন গাছ থেকে, ধীরে ধীরে এগোলেন সুঘ্রাণের উৎসের দিকে। এক পাহাড়ি গুহার চৌকাঠে তিনি দেখতে পেলেন পুড়ে যাওয়া কিছু পাতার স্তূপ। পাতাগুলো ছিল গাঁজা। তিনি কুড়িয়ে নিলেন এক...

কোনও একজনের বিরহে

                                                                                    ১ মনে পড়ার তো কোনও কারণ নেই তবু কথা গুলো                                       ২ কথা গুলো একএকটি বিষের ছোবল, একদা - নীল ময়ূর সোনিলী হরিণ পাখি ও কুকুর-বেড়ালের গায়ে ছুঁড়ে ফেলা হলো সেই ছোবল একএক করে তাঁরা সবাই মারা গেলো                 ...

ঈশ্বর ও প্রেমিকার সংলাপ

– ‘সে যদি তোমাকে ভালোবেসে অশান্তি'তে মারে?’ ভাগ্য দোষে মরে যাবো তবে — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে অপমান?’ শোকেতে, আমি শোকেতে খানখান — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে গালাবালি?’ বাথরুমে বসে বসে কেঁদে নেবো খালি — ‘কাঁদবে?– আচ্ছা, ঠক ঠক করে ওঠে যদি বাথরুমের দরজার?’ মুছতে মুছতে জল ধুয়ে নেবো চোখের পাতা — ‘যদি পাতা জুড়ে ব্লক রাখে সোশ্যাল মিডিয়া তোকে?’ কী আর করব? কবিতায় লিখব ওকেই বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও? — ‘যাও, আজীবন তুমি আশীষের, আর আশীষ তোমার অভাব ভোগ করো!’