সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

লং ঘূর্ণি

  আজ-কাল একদমই কিছু ভালো লাগে না, সারাদিন বসে থাকি শোকের ভিতর পাশের পাড়াতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাঝি, মুণ্ডার দল মাঠ থেকে ফিরে গোধূলির আকাশে গান ধরে হু হু করে বাতাসে ভেসে আসে তার মিষ্টি সুর   । আমি বাতাসে কান পেতে শুনি, রাত্রি ঝিমিয়ে আসে যত, সুগভীর মায়ায় জড়িয়ে পড়ি এবং আমার নাভিকুণ্ডলী থেকে ভেসে আসে ভালোবাসার গন্ধ, ভালোবাসার গন্ধে আমার মাথার ভিতর চোদ্দহাজার উইপোকা কিলবিল করে উঠে ততক্ষণাত নাটকের পোশাক খুলে বসে পড়ি ক্ষতর কাছে । কোন এক সময় মা মনসাদেবীর বিষধারী এক কন্যা বুকের বাঁ স্তন্য পান করে করে বড় হয়ে উঠেছিল আমার ভিতর

শুভঙ্কর বিশ্বাস আশীষ মাহাত এক আভাস মাত্র

  আমাদের দেখা হবে আবার কোন একদিন এই শালনের মৃদু হাওয়ায়                                        গ্রহ-নক্ষত্র এক হলে জোয়ারের নদী, অসুখে ভারি হয়ে উ ঠা বুক ধুলোবালি-শূন্যতার, অপেক্ষা পুড়িয়ে   মার হাতে লেপা চাতালে বলবো দুই নীরব শ্রোতা , থালা ভরতি নি ঃ শ্বাস উড়িয়ে   ফিসফিসিয়ে সুখ-দুঃখের কথা বলবে ঈশ্বর .....   কাঁচা শালপাতায় খাবো, ভিজিয়ে রাখা ছোলা শুনশান বুকে বয়ে যাবে নিরীহ নদী আইনস্টাইন হয়ে পারিনি কেউ সমাধান করতে জীবনের  কঠিন পরিস্থিতির সিঁড় ি

প্রিয় শহর ও পিন কোড

“কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!”   শহর ছাড়ার আগে, দু’মুঠো মাটি হাতে নিয়ে বলেছি তাড়াতাড়ি ফিরবো   প্রেমিকাকে কথা দিয়েছি জন্মদিনে পাশে থাকবো   মাকে ছুঁয়ে বলেছি তোমার মন খারাপ হলেই  “একছুট্টে তেরো নদী”   দূর থেকে বাবাকে কিছু বলার আগেই চশমার ঝাপসা কাঁচে ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছে বিষন্নতা,    আমার এই তিন সংসার মা-বাবা, প্রেমিকা ও রোজগার   আজ হাজার হাজার সময় চলে যাচ্ছে দূরসীমান্তে দুকূল ছাপিয়ে উঠছে নদী, ঘেমে উঠছে হাতের তালু   সবুজ পাতা, মায়ের মুখ, মাটির শেকড় মনে রেখো আমায় প্রিয় শহর ও পিন কোড..….  

অপুর সংসার × বনলতা সেন

 

ও হে হিটলার স্বপ্ন দেখাতে দোষ কোথায়

রোজ ভাবি একদিন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু কিছুতেই আর ঠিক হয়ে উঠে না । বর্ষা আসে বর্ষা যায় ভেসে যায় চেনা মুখ ।        আমি রোজ ১১ মাইল পথ হেঁটে বাড়ি ফিরি এবং ঘুমের ঘোরে হাঁপিয়ে উঠি আবার কান্না ভেজা চোখ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি । আমি জানি না কেন আজকাল এই শহরের রঙ আমার চোখে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট লেগে থাকে । তসলিমা নাসরিন এর মতো "ভালোবাসায় আজকাল মন বসে না । ভালোবাসা আজকাল তেমন করে মালার মতো গাঁথে না । যেমন বাঁধে বেদনার দীর্ঘ সুতো ।"                এই যে আমি ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখছি         পাহাড়ে ঘেরা মাঠ, নদী , কাশবন, মাটির লাল ধুলো, গোলাপী চাঁদ, বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মায়ের মুখ, প্রেমিকার ঠোঁটের অসম্ভব সুন্দর তিল                                             রাজা হরিশচন্দ্রের আগুনে পোড়া মাছ জলে ভেসে যাওয়ার মতো, জলে ভেসে যাচ্ছে আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত এবং পরের প...

একদিন তুমি

  একদিন তুমি আমার চেয়েও ভীষণ একা হবে ভেঙে পড়বে প্রেমিক হারানোর শোকে সাজানো ঘর, সাজানো উঠোন, জুঁই ফুলের গন্ধ তবু মাথায় কিলবিল করে উঠে একাকীত্ব ঘনঅন্ধকারে বালিশ ভিজে হবে স্যাঁতস্যাঁতে এবড়োখেবড়ো দু'একটা ছবি জ্যান্ত হবে ঘুমে কাছেই কোথাও একটা বাজ পড়বে, ঝলসে উঠবে চোখ গোপোন এবং নিষিদ্ধ হবে মন খারাপের এই অসুখ মন খারাপ ভালো হওয়ার আগেই ভোর হবে চাপা কষ্ট বাড়বে বুকে, মস্তিষ্কের পচন শুরু হতে হতে গুহাবন্দি মনে হবে নিজেকে, সন্ধ্যা নামলেই মাথা ফাঁকা পাশে থাকতে মেঘমল্লা, আবছা হাওয়া, আবছা কুয়াশা

প্রতি পদে সাফল্য ও শব্দের মৃত্যু

  জীবন পথে আমি সাফল্যোর ছবি আঁকি দিগন্তে চোখ রেখে মরুভূ মির উষ্ণবলি ছুঁয়ে বৃষ্টি খুঁজি চাতকের শুকনো ঠোঁটে সমদ্দেু র তটে বসে আমি টেউ গুনি মাছ রাঙ্গা পাখির ঝংকারে রাত দুপুরে ঘুঘু পেঁচার ডাকে ভালোবাসা খুঁজি মনের গহীন কোনে অসুস্থ অপরাজিতার ডালে প্রেমিকার গন্ধ খুঁজি ক্ষয়িত প্রেমের অক্ষত ব্যথার অনুভবে।