সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রতি পদে সাফল্য ও শব্দের মৃত্যু

  জীবন পথে আমি সাফল্যোর ছবি আঁকি দিগন্তে চোখ রেখে মরুভূ মির উষ্ণবলি ছুঁয়ে বৃষ্টি খুঁজি চাতকের শুকনো ঠোঁটে সমদ্দেু র তটে বসে আমি টেউ গুনি মাছ রাঙ্গা পাখির ঝংকারে রাত দুপুরে ঘুঘু পেঁচার ডাকে ভালোবাসা খুঁজি মনের গহীন কোনে অসুস্থ অপরাজিতার ডালে প্রেমিকার গন্ধ খুঁজি ক্ষয়িত প্রেমের অক্ষত ব্যথার অনুভবে।

ব্যর্থ প্রেমিকটির কথা

বহুজন মেঘ নিয়ে খেলে ভাসমান নৌকায় বহুজন শব্দ নিয়ে খেলে ছন্দ পালটায় প্রথম প্রেম পাথার বাঁধে বুকে খড়কুটোর মতো উজান স্রোতে ভাসায় তবু ঝর্ণার জলে বালিশ ভেজায়নি তেল কী জলের সাথে মানায়? সর্বনাশী প্রেম রাঙানো চোখ ঘুমে গিলে খায় দেহ আত্মা বাড়ায় জং ধরা বুকের বিষন্নতা ভাল্লোলাগে মাতাল হয়ে জড়াতে নিজের ছায়া রচনাকাল ২০১৬

পুরোনো সে অভিশাপ

  প্রতি মুহূর্ত জন্ম নিচ্ছে ভয়ের রাশি চারপাশে স্বজনের রক্তের ধোঁয়া পাড়ন্ত বিকেল ঘুমে কাড়ে বোমা-গুলি এক শহর মগ্ন মহাউৎসব রামনবমী এক শহর রক্ত বিস্ফোরনে ক্লান্ত নিশব্দ আলোয় চারদিকে মৃত লাশ  জ্বলে ওঠা বারুদও জানে- এই শুধুই ধর্মের নামে রাজনীতির দাঙ্গা কিংবা হয়তো গত শতাব্দীতে ইংরেজদের  দেওয়া সেই হিন্দু মুসলিমের রক্তে  জাত পাতের বিষের অভিশাপ। রচনাকাল ২০১৭

জননীর অশ্রুর

জন্মের পর কেঁদে উঠে সদ্য জাত শিশু  হঠাৎ বকেু পাথর জমায়-শিলালিপি স্তুপ হাতে পাঁচ আঙ্গুলে দু'মড়ে মারে মা'র ভালোবাসা  শামকু খোলার মতো গা ঢেকে নেয় কবর স্ত্রীর সুখে মা'র ভালোবাসায় গ্রহণ লাগায় সন্তান  প্রার্থনা শুধুই বৃদ্ধা জননীর মৃত্যু   জননীর ললাটে আঁকে বৃদ্ধাশ্রম  বাড়িয়ে দেয় পচা ভাতের ফেণায় ঠোঁট অমল্য রতন হারানোর শোকে স্তব্ধ ভিক্ষিরিনির টলটল চোখের জল টুপ টুপ করে ঝরে অন্তর আত্মীয়  বসে বসে ভাবে জননীর কংক্রিটের পাঁজও পোড়ায় মাতৃত্ব ঋণ এই লেখার রচনাকাল ২০১৭

না দেখা প্রেমের ইতিকথা

ভাঙাচোরা হৃদয়ের প্রেম নগরে কে তুমি? স্বপ্নে ভালোবাসার সাত রং নিয়ে গোছাভরা চুল আর লাল পাড়ের শাড়িতে দাঁড়িয়ে আছো প্রেমের প্রদীপ হাতে ব্যাকুলতায় আমি ওগো স্বপ্নের মায়াবী নারী কল্পনাতে তোমায় আঁকি চন্দ্রীমার গাঁয়ে খানিক পর হারিয়ে যায় সোনার চাঁদ সময় পরিক্রমের ব্যাসার্ধ ছুয়ে চঞ্চলতায় কাটে যায় আমার সারাদিন ওগো স্বপ্নের মায়াবী নায়িকা রাত জেগে লিখে যায় ঘুমন্ত পাখির পলকে না দেখা প্রেমের ইতিকথা।

আরও একবার তোমার কাছে হেঁটে যেতে যেতে ৩

  যে ভাবে হয়ে যাও নিরুদ্দেশ  বিষাক্ত আগুন ছুঁয়ে ঠোঁটে পড়ে থাকে পোড়া জ্যোৎস্না  কৃষ্ণপক্ষের ঢেউ ভাঙার উপাখ্যান  শ্রেণীবদ্ধ ছুটে আসে আগুনের শিখা  হাতের মুঠি আলগা হয়ে,খসে যায় জীবন রেখা।

মানবতা বোধ

  গ্রীষ্মকালের রোদ চওড়া হলে উঠোনের পাশের নিম গাছটার একপাশে রোদ  এক পাশে ছায়ার লুকোচুরি করে । আমাদের পোষা কুকুর ভলু তখন ঘেউ ঘেউ শুরু করে আমি তাকে ঘরে এনে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনিয়ে- গায়ে হাত দিয়ে ঘুম পাড়াই । এই ভাবে ভিতরের মানবতা জাগ্রত করি ।।