সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

যেমন রোজ মরি

  আমার শরীরে লকলকে আগুন, পোড়া কাঠের গন্ধ । কৃষ্ণ হয়ে বাঁশিতে সুর তুলতে পারিনি রাধে, হিমুর দেওয়া নদী মাঝে মাঝে বুক পকেটে থেকে কিঙ্কিণী রিনিঝিনি শব্দ ওঠে, আমি একলা বসে থাকি ছাদের এককোনে সারারাত । মন খারাপে কতবার তোমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়েছি স্বপ্নের ভিতর আর মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে ঝগড়া করেছি একাএকা -            মাথা ঘুরে হাপুনি নিঃশ্বাস বন্ধ             হঠাৎ আবার যন্ত্রণা, গর্ভধারিণী মা ব্যথায় জর্জরিত দীর্ঘ নয় দীর্ঘ মাস, নাভি কুণ্ডলী পেকে এসেছে । প্রসব বেদনা বেড়ে চলছে, বারোহাত কাপড়ে পেঁচানো মেয়েটিকে স্বপ্নে আসে,          বুকের তাজা রক্ত বাঁ পাশের ধক ধক ধক শব্দ কিছু দহনে স্বপ্ন পুড়ে যায় 

রাত মানেই রক্তক বুক

  প্রিয় গণতন্ত্র শোনো,                     আমি খুন হয়ে গেছি দীর্ঘকাল আগেই  এই নীরবতা শূন্যতা ভাগ ফল ও ভাগ শেষ এরও ক্ষয় আছে.......... ক্ষয় নেই কেবল পোড়া ক্ষতর - এই যে 'কত রাত জাগা ঘুমের মধ্যে ছিল বিষ                           একই নাকি তুই প্রেম বলিস' প্রাণ প্রিয় ভারতবর্ষ, আজ এই কবিতায় ঘোষণা করে যাচ্ছি - প্রতি ব্যর্থ প্রেমিকের কাছে রাত মানেই রক্তক বুক

ধরো, অধিকাংশ জীবনের অপ্রকাশিত শব্দ

  ধরো, আমি হঠাৎ মারা গেলাম এই শহরের ভিড়ে, তোমার কি চোখের জল মুছে যাবে! ধরো, তুমি হেঁটে যাচ্ছো দূরের নির্জন কোন সীমানায় সেখানে কেউ একজন গীতার একটি বানী বারবার  উচ্চারণ করছে আমি সময় আমি অসময় তুমি কি আমায় সেই মুহূর্ত থেকে অসময় বলে চিহ্নিত করবে! ধরো, রাতের আকাশে একটি তারা মিটমিট করে জ্বলছে, তোমার চোখের সামনে বারান্দায় বসে, তুমি কি তাকে আমার নামে খিস্তি করবে! ধরো, ডায়মন্ডহারবার এর আমার সেই বান্ধবী'টি ঝি নু ক তোমার সামনে এসে, আমাকে যদি তার প্রেমিক হিসেবে দাবী করে তুমি কি আগের মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদবে, নাকি হেসে উঠিয়ে দেবে! ধরো, তোমার বিয়ের পর, প্রতিদিন সকাল সকাল স্নান সেরে আয়না সামনে দাঁড়িয়ে সিঁদুর পরতে পরতে আমার কথা কি মনে পড়বে!

ডাইনির মতো মায়া জালে বেঁধে রেখেছে যে নারী

তোমার সামনে দাঁড়ালেই মনে হয়, তুমি ভোরের শান্ত শীতল বাতাস গাছগাছালির সবুজ পাতার মতো ভেসে বেড়ায় সারা শরীর এমনই অদ্ভুত বাতাস মনে হয় তোমায়........ একটা সরু রাস্তা যেখানে হেঁটে গেছে - সময় - অসময়, বৃদ্ধ - যৌবন মন - খারাপ, কান্নায় - ভেজা রাত সুখ -দুঃখ, মান - অভিমান হাজার হাজার মানুষের পায়ে  সেখানে আমি - রাত্রিবেলা ছাতিম ফুলের গন্ধ পাই বা না পাই হাতে চায়ের পেয়ালা তুলে, পাহাড়ের গায়ে চিত্কার করে তাঁর প্রতিধ্বনি শুনতে চাই -

লং ঘূর্ণি

  আজ-কাল একদমই কিছু ভালো লাগে না, সারাদিন বসে থাকি শোকের ভিতর পাশের পাড়াতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাঝি, মুণ্ডার দল মাঠ থেকে ফিরে গোধূলির আকাশে গান ধরে হু হু করে বাতাসে ভেসে আসে তার মিষ্টি সুর   । আমি বাতাসে কান পেতে শুনি, রাত্রি ঝিমিয়ে আসে যত, সুগভীর মায়ায় জড়িয়ে পড়ি এবং আমার নাভিকুণ্ডলী থেকে ভেসে আসে ভালোবাসার গন্ধ, ভালোবাসার গন্ধে আমার মাথার ভিতর চোদ্দহাজার উইপোকা কিলবিল করে উঠে ততক্ষণাত নাটকের পোশাক খুলে বসে পড়ি ক্ষতর কাছে । কোন এক সময় মা মনসাদেবীর বিষধারী এক কন্যা বুকের বাঁ স্তন্য পান করে করে বড় হয়ে উঠেছিল আমার ভিতর

শুভঙ্কর বিশ্বাস আশীষ মাহাত এক আভাস মাত্র

  আমাদের দেখা হবে আবার কোন একদিন এই শালনের মৃদু হাওয়ায়                                        গ্রহ-নক্ষত্র এক হলে জোয়ারের নদী, অসুখে ভারি হয়ে উ ঠা বুক ধুলোবালি-শূন্যতার, অপেক্ষা পুড়িয়ে   মার হাতে লেপা চাতালে বলবো দুই নীরব শ্রোতা , থালা ভরতি নি ঃ শ্বাস উড়িয়ে   ফিসফিসিয়ে সুখ-দুঃখের কথা বলবে ঈশ্বর .....   কাঁচা শালপাতায় খাবো, ভিজিয়ে রাখা ছোলা শুনশান বুকে বয়ে যাবে নিরীহ নদী আইনস্টাইন হয়ে পারিনি কেউ সমাধান করতে জীবনের  কঠিন পরিস্থিতির সিঁড় ি

প্রিয় শহর ও পিন কোড

“কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!”   শহর ছাড়ার আগে, দু’মুঠো মাটি হাতে নিয়ে বলেছি তাড়াতাড়ি ফিরবো   প্রেমিকাকে কথা দিয়েছি জন্মদিনে পাশে থাকবো   মাকে ছুঁয়ে বলেছি তোমার মন খারাপ হলেই  “একছুট্টে তেরো নদী”   দূর থেকে বাবাকে কিছু বলার আগেই চশমার ঝাপসা কাঁচে ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছে বিষন্নতা,    আমার এই তিন সংসার মা-বাবা, প্রেমিকা ও রোজগার   আজ হাজার হাজার সময় চলে যাচ্ছে দূরসীমান্তে দুকূল ছাপিয়ে উঠছে নদী, ঘেমে উঠছে হাতের তালু   সবুজ পাতা, মায়ের মুখ, মাটির শেকড় মনে রেখো আমায় প্রিয় শহর ও পিন কোড..….