সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অপুর সংসার × বনলতা সেন

 

ও হে হিটলার স্বপ্ন দেখাতে দোষ কোথায়

রোজ ভাবি একদিন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু কিছুতেই আর ঠিক হয়ে উঠে না । বর্ষা আসে বর্ষা যায় ভেসে যায় চেনা মুখ ।        আমি রোজ ১১ মাইল পথ হেঁটে বাড়ি ফিরি এবং ঘুমের ঘোরে হাঁপিয়ে উঠি আবার কান্না ভেজা চোখ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি । আমি জানি না কেন আজকাল এই শহরের রঙ আমার চোখে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট লেগে থাকে । তসলিমা নাসরিন এর মতো "ভালোবাসায় আজকাল মন বসে না । ভালোবাসা আজকাল তেমন করে মালার মতো গাঁথে না । যেমন বাঁধে বেদনার দীর্ঘ সুতো ।"                এই যে আমি ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখছি         পাহাড়ে ঘেরা মাঠ, নদী , কাশবন, মাটির লাল ধুলো, গোলাপী চাঁদ, বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মায়ের মুখ, প্রেমিকার ঠোঁটের অসম্ভব সুন্দর তিল                                             রাজা হরিশচন্দ্রের আগুনে পোড়া মাছ জলে ভেসে যাওয়ার মতো, জলে ভেসে যাচ্ছে আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত এবং পরের প...

একদিন তুমি

  একদিন তুমি আমার চেয়েও ভীষণ একা হবে ভেঙে পড়বে প্রেমিক হারানোর শোকে সাজানো ঘর, সাজানো উঠোন, জুঁই ফুলের গন্ধ তবু মাথায় কিলবিল করে উঠে একাকীত্ব ঘনঅন্ধকারে বালিশ ভিজে হবে স্যাঁতস্যাঁতে এবড়োখেবড়ো দু'একটা ছবি জ্যান্ত হবে ঘুমে কাছেই কোথাও একটা বাজ পড়বে, ঝলসে উঠবে চোখ গোপোন এবং নিষিদ্ধ হবে মন খারাপের এই অসুখ মন খারাপ ভালো হওয়ার আগেই ভোর হবে চাপা কষ্ট বাড়বে বুকে, মস্তিষ্কের পচন শুরু হতে হতে গুহাবন্দি মনে হবে নিজেকে, সন্ধ্যা নামলেই মাথা ফাঁকা পাশে থাকতে মেঘমল্লা, আবছা হাওয়া, আবছা কুয়াশা

প্রতি পদে সাফল্য ও শব্দের মৃত্যু

  জীবন পথে আমি সাফল্যোর ছবি আঁকি দিগন্তে চোখ রেখে মরুভূ মির উষ্ণবলি ছুঁয়ে বৃষ্টি খুঁজি চাতকের শুকনো ঠোঁটে সমদ্দেু র তটে বসে আমি টেউ গুনি মাছ রাঙ্গা পাখির ঝংকারে রাত দুপুরে ঘুঘু পেঁচার ডাকে ভালোবাসা খুঁজি মনের গহীন কোনে অসুস্থ অপরাজিতার ডালে প্রেমিকার গন্ধ খুঁজি ক্ষয়িত প্রেমের অক্ষত ব্যথার অনুভবে।

ব্যর্থ প্রেমিকটির কথা

বহুজন মেঘ নিয়ে খেলে ভাসমান নৌকায় বহুজন শব্দ নিয়ে খেলে ছন্দ পালটায় প্রথম প্রেম পাথার বাঁধে বুকে খড়কুটোর মতো উজান স্রোতে ভাসায় তবু ঝর্ণার জলে বালিশ ভেজায়নি তেল কী জলের সাথে মানায়? সর্বনাশী প্রেম রাঙানো চোখ ঘুমে গিলে খায় দেহ আত্মা বাড়ায় জং ধরা বুকের বিষন্নতা ভাল্লোলাগে মাতাল হয়ে জড়াতে নিজের ছায়া রচনাকাল ২০১৬

পুরোনো সে অভিশাপ

  প্রতি মুহূর্ত জন্ম নিচ্ছে ভয়ের রাশি চারপাশে স্বজনের রক্তের ধোঁয়া পাড়ন্ত বিকেল ঘুমে কাড়ে বোমা-গুলি এক শহর মগ্ন মহাউৎসব রামনবমী এক শহর রক্ত বিস্ফোরনে ক্লান্ত নিশব্দ আলোয় চারদিকে মৃত লাশ  জ্বলে ওঠা বারুদও জানে- এই শুধুই ধর্মের নামে রাজনীতির দাঙ্গা কিংবা হয়তো গত শতাব্দীতে ইংরেজদের  দেওয়া সেই হিন্দু মুসলিমের রক্তে  জাত পাতের বিষের অভিশাপ। রচনাকাল ২০১৭

জননীর অশ্রুর

জন্মের পর কেঁদে উঠে সদ্য জাত শিশু  হঠাৎ বকেু পাথর জমায়-শিলালিপি স্তুপ হাতে পাঁচ আঙ্গুলে দু'মড়ে মারে মা'র ভালোবাসা  শামকু খোলার মতো গা ঢেকে নেয় কবর স্ত্রীর সুখে মা'র ভালোবাসায় গ্রহণ লাগায় সন্তান  প্রার্থনা শুধুই বৃদ্ধা জননীর মৃত্যু   জননীর ললাটে আঁকে বৃদ্ধাশ্রম  বাড়িয়ে দেয় পচা ভাতের ফেণায় ঠোঁট অমল্য রতন হারানোর শোকে স্তব্ধ ভিক্ষিরিনির টলটল চোখের জল টুপ টুপ করে ঝরে অন্তর আত্মীয়  বসে বসে ভাবে জননীর কংক্রিটের পাঁজও পোড়ায় মাতৃত্ব ঋণ এই লেখার রচনাকাল ২০১৭