সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ঈশ্বর ও প্রেমিকার সংলাপ

– ‘সে যদি তোমাকে ভালোবেসে অশান্তি'তে মারে?’ ভাগ্য দোষে মরে যাবো তবে — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে অপমান?’ শোকেতে, আমি শোকেতে খানখান — ‘সে যদি তোমাকে রোজ করে গালাবালি?’ বাথরুমে বসে বসে কেঁদে নেবো খালি — ‘কাঁদবে?– আচ্ছা, ঠক ঠক করে ওঠে যদি বাথরুমের দরজার?’ মুছতে মুছতে জল ধুয়ে নেবো চোখের পাতা — ‘যদি পাতা জুড়ে ব্লক রাখে সোশ্যাল মিডিয়া তোকে?’ কী আর করব? কবিতায় লিখব ওকেই বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও? — ‘যাও, আজীবন তুমি আশীষের, আর আশীষ তোমার অভাব ভোগ করো!’

ডাক

  দু র্জয় মরুভূমি লাফিয়ে লাফিয়ে এলাম মাতৃগর্ভ থেকে, করবী ঝড়ে । আমার দিকে চেয়ে দস্যুর লালচোখ অজস্র খড়কুটো । দু'পাশে কাঁটা মাছের মুণ্ড এই প্রথম পৃথিবী আমায় উৎসর্গ করল- রক্তনদী, লাল জবা । আমি প্রণাম সেরে উঠে পড়লাম নৌকায় পাশে ঝাউবনের ঘেরা চিরমুগ্ধ গ্রাম অর্ধস্বরে ভেসে আসছে নারীর ডাক কে যে ডাকে পিছু ফিরে বারবার..

প্রিয় শহর ও পিনকোড আশীষ মাহাত

আধুনিক কবিতার বই প্রিয় শহর ও পিনকোড আশীষ মাহাত "সবুজ পাতা, মায়ের মুখ, মাটির শেকড় মনে রেখো আমায় প্রিয় শহর ও পিন কোড..…." প্রিয় শহর ও পিনকোড  - Priyo Shohor O Pincode on Flipkart & Amazon https://dl.flipkart.com/s/Nkyg19uuuN   https://amzn.eu/d/ionwtiO

প্রিয় শহর ও পিনকোড

 "কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না।" সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রিয় লাইনটি ছুঁয়ে গেছে প্রিয় শহর ও পিনকোড এ আমার শরীরে লকলকে আগুন, পোড়া কাঠের গন্ধ। কি আশ্চর্য সুন্দরী মানবী তুমি! আমাকে প্রতিদিন যত্ন করে কাঁদাও। মাঝে মাঝে কিছু না বলা কথা জমা হয়ে যায় , যা বলতে গিয়েও বলতে পারিনি। শুধু কিছু নীরবতা আর নিঃসঙ্গতা একাকীত্বই আমার না বলা সব কথা।                   মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাও, ঘুমের ঘোরে তুমি, মাইগ্রেনের যন্ত্রণার আদর তবুও চাইনি আমার কষ্ট কাউকে স্পর্শ করুক, চাই না আমাকের হারানোর যন্ত্রণা কেউ নির্বাক যাক                     প্রিয় শহর ও পিনকোড তব্ধ দম্ভ আগুন                     প্রথম চুম্বন ঝড়ের বৃষ্টি ভেজা রাত -                     এই সব রাতে মনে হয় 'নেশা করার পরেও মানুষ সিগারেটে আগুন জ্বালায় আরও বেশি মাতাল হয়, ঘুম আসে । স্মৃতি জমা হয়       ...

যেমন রোজ মরি

  আমার শরীরে লকলকে আগুন, পোড়া কাঠের গন্ধ । কৃষ্ণ হয়ে বাঁশিতে সুর তুলতে পারিনি রাধে, হিমুর দেওয়া নদী মাঝে মাঝে বুক পকেটে থেকে কিঙ্কিণী রিনিঝিনি শব্দ ওঠে, আমি একলা বসে থাকি ছাদের এককোনে সারারাত । মন খারাপে কতবার তোমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়েছি স্বপ্নের ভিতর আর মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে ঝগড়া করেছি একাএকা -            মাথা ঘুরে হাপুনি নিঃশ্বাস বন্ধ             হঠাৎ আবার যন্ত্রণা, গর্ভধারিণী মা ব্যথায় জর্জরিত দীর্ঘ নয় দীর্ঘ মাস, নাভি কুণ্ডলী পেকে এসেছে । প্রসব বেদনা বেড়ে চলছে, বারোহাত কাপড়ে পেঁচানো মেয়েটিকে স্বপ্নে আসে,          বুকের তাজা রক্ত বাঁ পাশের ধক ধক ধক শব্দ কিছু দহনে স্বপ্ন পুড়ে যায় 

রাত মানেই রক্তক বুক

  প্রিয় গণতন্ত্র শোনো,                     আমি খুন হয়ে গেছি দীর্ঘকাল আগেই  এই নীরবতা শূন্যতা ভাগ ফল ও ভাগ শেষ এরও ক্ষয় আছে.......... ক্ষয় নেই কেবল পোড়া ক্ষতর - এই যে 'কত রাত জাগা ঘুমের মধ্যে ছিল বিষ                           একই নাকি তুই প্রেম বলিস' প্রাণ প্রিয় ভারতবর্ষ, আজ এই কবিতায় ঘোষণা করে যাচ্ছি - প্রতি ব্যর্থ প্রেমিকের কাছে রাত মানেই রক্তক বুক

ধরো, অধিকাংশ জীবনের অপ্রকাশিত শব্দ

  ধরো, আমি হঠাৎ মারা গেলাম এই শহরের ভিড়ে, তোমার কি চোখের জল মুছে যাবে! ধরো, তুমি হেঁটে যাচ্ছো দূরের নির্জন কোন সীমানায় সেখানে কেউ একজন গীতার একটি বানী বারবার  উচ্চারণ করছে আমি সময় আমি অসময় তুমি কি আমায় সেই মুহূর্ত থেকে অসময় বলে চিহ্নিত করবে! ধরো, রাতের আকাশে একটি তারা মিটমিট করে জ্বলছে, তোমার চোখের সামনে বারান্দায় বসে, তুমি কি তাকে আমার নামে খিস্তি করবে! ধরো, ডায়মন্ডহারবার এর আমার সেই বান্ধবী'টি ঝি নু ক তোমার সামনে এসে, আমাকে যদি তার প্রেমিক হিসেবে দাবী করে তুমি কি আগের মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদবে, নাকি হেসে উঠিয়ে দেবে! ধরো, তোমার বিয়ের পর, প্রতিদিন সকাল সকাল স্নান সেরে আয়না সামনে দাঁড়িয়ে সিঁদুর পরতে পরতে আমার কথা কি মনে পড়বে!