সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অপ্রকাশিত প্রেমের গল্প

  তোমায় ভালোবাসি বলতে ঠোঁট কাঁপে পাশে দাঁড়ালে বুক অপ্রকাশিত প্রেমের আমার একপথ নিশ্চুপ তুমিও জানো তোমায় ভালোবাসি শুধুই না বোঝার নাটক চোখের ভাষা হাত বাড়াচ্ছে ভালোবাসতে দেখেও না দেখা অন্ধ তোমার চোখ স্বপ্নে লুকোচুরি করে হারিয়ে যায় কাজল কালো চোখ ভয়ে ভয়ে কেঁপে ওঠি না বলার যন্ত্রণায় অপ্রকাশিত প্রেমের এক পথ নিশ্চুপ মন বলে প্রকাশ করি,কিন্তু প্রকাশ করলে যদি কাঁদাও অভিমানের জলে তুমি যদি থৈ থৈ যদি বৃষ্টি নামাও সারা দেহ জুড়ে  যদি ভালোবাসা উড়িয়ে দাও বাতাসের সুরে অল্প অল্পই

প্রেমের অনেক সুর

                           প্রেমের অনেক সুর                     তাই প্রেমে সব কিছু নতুন লাগে                         অন্ধকার জীর্ণকুঠুরিতে                                আলো জ্বলে।                               প্রেমের অনেক সুর                      কখনও চিঠি পৌঁছায় বই এর পাতায়                               রাত জাগায় চুপিচুপি                                  উত্তরের আশায়।                   ...

কে জানে কে তুই!

                                          তুই কি ঝর্ণার ধারা  যে অশ্রু হয়ে বয়ে যায় তুই কি আমার স্বপ্ন,  যা আব্ছা আলো'তে অসম্পূর্ণ  তুই কি আমার প্রতিচ্ছবি,  যা'কে আঁকতে গিয়ে হারিয়ে ফেলি  তুই কি আমার কবিতা যা'কে হৃদয়ের ক্যানভাসে লিখে য়ায তুই কি আমার মন যে অল্প আঘাতে চোখ মুছে তুই কি আমার ভাবনা, যা বুকে আছে দুই আনা তুই কি আমার গল্প, যা অন্তরে রয়েছে অল্প ।

অপেক্ষা

 চিঠি এসেছে নীল খামে নীলাঞ্জনা তোমার নামে । এলোমেলো সব ভাবনা, বেড়ে ওঠে পুরোনো যন্ত্রণা । প্রতি নিত্য কিছু ভাঙে,গড়ে পুরোনো কথা আঁকড়ে ধরে । ভেঙে স্বপ্নের সংসার দিয়েছিলে উপহার । প্রতি রাত, প্রতি ক্ষন একা মনে পড়ে সেই মিথ্যা কথা । তোমার প্রেমের বিনিময়ে দিয়েছি প্রতিদান । দেবতার আসনে ছিলে সম্মানে মন্দিরটা ভেঙে দিলে অজ্ঞানে । আবার কি আমার মৃত্যু চাস?? তবে ওই যন্ত্রণা আবার দিয়ে যাস! আমি তোমার দিকে চেয়েরব, সেই নামে আবার ডাকবো। তোমার প্রেমের গন্ধ খুঁজবো, তবে কি? পুরোনো দিনগুলো ফিরবে॥

অন্যরকম এক স্তব্ধতা

  বুকের ভিতর মুহুর্মুহু ফুটে উঠছে সন্ধ্যার ঘন অন্ধকার ধীরে ধীরে বুজে যাচ্ছে সূর্যের আলো, ইচ্ছে করে কেউ দেখেনি ঢেকে রাখা গোপন স্তব্ধতা কিছু কথা চেপে রাখা ভালো না হলে নিশ্চিত পূর্বপুরুষের মতো গুপ্ত কিছু কথা হাওয়ার ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে ফতুর হয়ে যাবে অন্যর কাছে প্রকাশিত দুঃখ পড়ে থাকবে উদ্বাস্তু খাঁকি শূন্যতার বধ্যভূমি

আরও একবার তোমার কাছে হেঁটে যেতে যেতে

                 যে ভাবে হয়ে যাও নিরুদ্দেশ                   বিষাক্ত আগুন ছুঁয়ে ঠোঁটে                   পড়ে থাকে পোড়া জ্যোৎস্না              কৃষ্ণপক্ষের ঢেউ ভাঙার উপাখ্যান            শ্রেণীবদ্ধ ছুটে আসে আগুনের শিখা              হাতের মুঠি আলগা হয়ে,খসে যায়                                                         জীবন রেখা।  

লকডাউনের দিনগুলো ৪

  ৪৬ হোঁচট খেতে খেতে - আমি "আমাকে" খুঁজে পেয়েছি ৪৭ রাত্রিবেলা একটা মশা কানের কাছে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে উড়ে যাচ্ছে এবং আমার ভিতরের নাস্তিক জেগে উঠছে ৪৮ ভোররাত থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে আর পাকা ধানের জমি দেখে আমার মনে হচ্ছে পৃথিবী নদীমাতৃক দেশ ৪৯ আজ ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট হাতে এলো কাঁপা কাঁপা হাতে রিপোর্ট দেখে আমি হেঁসে উঠলাম আমি এখনো জীবিত ৫০ এই মাত্র আকাশ চাঁদ উঠে এলো সাথে সাথে ঘরের বারো আনা অন্ধকার দূর হয়ে গেলো ৫১ বর্তমানে হাতের রেখা আর করোনার পরিস্থিতি দুজন মিলে আমায় শকুনি মামার পাশার ফাঁদে ফেলেছে ৫২ জীবন আসলে বই এর কভার পেজে তাকে অনুভব করার আগেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়

লকডাউনের দিনগুলো - ৩

                                   ৩১ আজ ৪ নভেম্বর ২০২০ বুধবার আমার সকাল থেকে জ্বর আর বমিতে অন্ধকার হয়ে আসছে ঘর,বাড়ি,পথ,ঘাট                               ৩২ চোখ মুখ সর্বাঙ্গ পুড়ে যাচ্ছে তোমার কথার সম্মোহন জানে - এই জ্বরের উত্তাপও হার মেনে যায় তোমার দেওয়া ক্ষতের কাছে                                ৩৩ জ্বর আজও যায়নি তুমি কথা বলছ                           আমি চুপ আছি            তুমি বলছ, আমি চুপ আছি    আর ঠিক এইভাবে আমাদের সম্পর্ক মিশে যাচ্ছে অতলের গভীরে                                                    ৩৪ আজ সকা...

লকডাউনের দিনগুলো - ২

                                ১৬ চাকরি বাকরি হারিয়ে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে বসে আছি আর একটা শকুন মাথার উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে সারাক্ষণ                  ১৭ পাশের বাড়ির মনোজ'দার বারো বছরের ছেলে, সকাল থেকে সারা পাড়া মাথায় করে রেখেছে তার পোষা পাখি ময়না উড়ে গেছে বলে সে হয়তো এখনো বুঝেনি জীবন মানে সংগ্রাম                         ১৮    সাঁঝবেলা মনোজ'দার বৌ সুজতাদি প্রদীপ হাতে পাড়ার মন্দিরে আসে আর আমার চোখে অপ্সরা হয়ে ওঠে                       ১৯ এই অসময়ে বড়জোর রেল ফাটক অব্দি হেঁটে যায় তারচেয়ে বেশি হলে দামোদর নদী নদীর পাড়ে বসে দেখি সহস্র ঢেউ এর উপর দুমড়ে মুচড়ে পার হচ্ছে আমার প্রতিচ্ছবি    ...

লকডাউনের দিনগুলো

                     ১ প্রতিটি দুপুরের একটা নিজস্ব রং থাকে রোদে ঝলমল করে উঠে গলিপথ ঘুঘু ডাকে, কাক-চড়াই বসে বাড়ির উঠোনে তবু এখন সব ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট বিশ্রী রঙহীন                     ২ কোন প্রেমিকেই আর চিরকুট হাতে গলিপথে দাঁড়িয়ে থাকে না প্রেমিকারও ভীষণ মন খারাপ                               ৩ তরুণদের আড্ডার জায়গায় এখন সিগারেট,বিড়ির আলো জ্বলে উঠে না বলেই ক্লাবের ভিতর এক প্রকাণ্ড অন্ধকার বসে আছে                     ৪ স্কুল কলেজ বন্ধ ঠিক সময় বাজারের ব্যাগ আসে না তাই বলে আজ কাল মন খারাপ হয় না আমার হাতে টিভির রিমোট থাকায় টুক করে পালটে ফেলি চ্যানেল           ...

কাল্পনিক

  তুমি বারবার ছুটে আসবে আমার কাছে  আমি পৌঁছে তোমায় বাড়ির রাস্তা অব্দি তারপর আড়াল চোখে পিছু ফিরে তুমি ছুটে এসে দাঁড়াবে আমার চলে যাওয়া পথে  তোমায় বারবার ফিরিয়ে দিতে দিতে    একসময়- জড়িয়ে ধরে ভালোবেসে নেবো ।। তোমায় বারবার হারিয়ে ফেলবো বলেই