সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রতি পদে সাফল্য ও শব্দের মৃত্যু

  জীবন পথে আমি সাফল্যোর ছবি আঁকি দিগন্তে চোখ রেখে মরুভূ মির উষ্ণবলি ছুঁয়ে বৃষ্টি খুঁজি চাতকের শুকনো ঠোঁটে সমদ্দেু র তটে বসে আমি টেউ গুনি মাছ রাঙ্গা পাখির ঝংকারে রাত দুপুরে ঘুঘু পেঁচার ডাকে ভালোবাসা খুঁজি মনের গহীন কোনে অসুস্থ অপরাজিতার ডালে প্রেমিকার গন্ধ খুঁজি ক্ষয়িত প্রেমের অক্ষত ব্যথার অনুভবে।

ব্যর্থ প্রেমিকটির কথা

বহুজন মেঘ নিয়ে খেলে ভাসমান নৌকায় বহুজন শব্দ নিয়ে খেলে ছন্দ পালটায় প্রথম প্রেম পাথার বাঁধে বুকে খড়কুটোর মতো উজান স্রোতে ভাসায় তবু ঝর্ণার জলে বালিশ ভেজায়নি তেল কী জলের সাথে মানায়? সর্বনাশী প্রেম রাঙানো চোখ ঘুমে গিলে খায় দেহ আত্মা বাড়ায় জং ধরা বুকের বিষন্নতা ভাল্লোলাগে মাতাল হয়ে জড়াতে নিজের ছায়া রচনাকাল ২০১৬

পুরোনো সে অভিশাপ

  প্রতি মুহূর্ত জন্ম নিচ্ছে ভয়ের রাশি চারপাশে স্বজনের রক্তের ধোঁয়া পাড়ন্ত বিকেল ঘুমে কাড়ে বোমা-গুলি এক শহর মগ্ন মহাউৎসব রামনবমী এক শহর রক্ত বিস্ফোরনে ক্লান্ত নিশব্দ আলোয় চারদিকে মৃত লাশ  জ্বলে ওঠা বারুদও জানে- এই শুধুই ধর্মের নামে রাজনীতির দাঙ্গা কিংবা হয়তো গত শতাব্দীতে ইংরেজদের  দেওয়া সেই হিন্দু মুসলিমের রক্তে  জাত পাতের বিষের অভিশাপ। রচনাকাল ২০১৭

জননীর অশ্রুর

জন্মের পর কেঁদে উঠে সদ্য জাত শিশু  হঠাৎ বকেু পাথর জমায়-শিলালিপি স্তুপ হাতে পাঁচ আঙ্গুলে দু'মড়ে মারে মা'র ভালোবাসা  শামকু খোলার মতো গা ঢেকে নেয় কবর স্ত্রীর সুখে মা'র ভালোবাসায় গ্রহণ লাগায় সন্তান  প্রার্থনা শুধুই বৃদ্ধা জননীর মৃত্যু   জননীর ললাটে আঁকে বৃদ্ধাশ্রম  বাড়িয়ে দেয় পচা ভাতের ফেণায় ঠোঁট অমল্য রতন হারানোর শোকে স্তব্ধ ভিক্ষিরিনির টলটল চোখের জল টুপ টুপ করে ঝরে অন্তর আত্মীয়  বসে বসে ভাবে জননীর কংক্রিটের পাঁজও পোড়ায় মাতৃত্ব ঋণ এই লেখার রচনাকাল ২০১৭

না দেখা প্রেমের ইতিকথা

ভাঙাচোরা হৃদয়ের প্রেম নগরে কে তুমি? স্বপ্নে ভালোবাসার সাত রং নিয়ে গোছাভরা চুল আর লাল পাড়ের শাড়িতে দাঁড়িয়ে আছো প্রেমের প্রদীপ হাতে ব্যাকুলতায় আমি ওগো স্বপ্নের মায়াবী নারী কল্পনাতে তোমায় আঁকি চন্দ্রীমার গাঁয়ে খানিক পর হারিয়ে যায় সোনার চাঁদ সময় পরিক্রমের ব্যাসার্ধ ছুয়ে চঞ্চলতায় কাটে যায় আমার সারাদিন ওগো স্বপ্নের মায়াবী নায়িকা রাত জেগে লিখে যায় ঘুমন্ত পাখির পলকে না দেখা প্রেমের ইতিকথা।

আরও একবার তোমার কাছে হেঁটে যেতে যেতে ৩

  যে ভাবে হয়ে যাও নিরুদ্দেশ  বিষাক্ত আগুন ছুঁয়ে ঠোঁটে পড়ে থাকে পোড়া জ্যোৎস্না  কৃষ্ণপক্ষের ঢেউ ভাঙার উপাখ্যান  শ্রেণীবদ্ধ ছুটে আসে আগুনের শিখা  হাতের মুঠি আলগা হয়ে,খসে যায় জীবন রেখা।

মানবতা বোধ

  গ্রীষ্মকালের রোদ চওড়া হলে উঠোনের পাশের নিম গাছটার একপাশে রোদ  এক পাশে ছায়ার লুকোচুরি করে । আমাদের পোষা কুকুর ভলু তখন ঘেউ ঘেউ শুরু করে আমি তাকে ঘরে এনে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনিয়ে- গায়ে হাত দিয়ে ঘুম পাড়াই । এই ভাবে ভিতরের মানবতা জাগ্রত করি ।।

আমাদের বিয়োগচিহ্ন

লাফাতে লাফাতে একটি ঘুড়ি  লাঠাই কেটে স্বাধীন হয়ে আকাশে উড়ে যেতে চাইছে স্বাধীন হওয়ার আগে একটি যুদ্ধের খুব প্রয়োজন নিষ্ঠুর নিয়তির কাছে ।। তোমার আমার মাঝখানেও একটি যুদ্ধের খুব প্রয়োজন শূন্য হয়ে যাওয়া অঙ্কের সাদা পাতায় যেখানে a²+b²=2abকরলে, আমাদের মাঝে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে ।।

৫ সেপ্টেম্বর

প্রতিটি শিক্ষক একটি সেলাই মেশিনের বটগাছ সেখানে আমরা আমাদের জীর্ণ বস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি কোন জাত নেই ধর্মের গাঁথুনি নেই আছে শুধু  প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দরজার উঠোন ধীরে ধীরে আমাদের অন্ধ-ভবিষ্যত্ ঝমঝমিয়ে সেলাই হয়ে গেলে  অন্ধকারের ভিতর আলো জ্বলে ওঠে ফুলে ফুলে সাজানো মণিমুক্তোর অলংকার

জীবন

যে যুদ্ধ কে ভালোবাসে না  যুদ্ধ কে ভয় পায়।। সে একদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করবে  বেঁচে থাকার জন্য ।।

নাবিক

  প্রথম প্রেম আশ্চর্য সে অনুভূতি ! আশ্চর্য দহনে সামিল হয়েছি  জমিয়ে রাখা পানি উপচে উঠেছে বুকে আগুনে হেঁটে চলেছি দুইজন, আগুনে দিয়েছি পা, আগুনের পেট কেটে আমি, রক্ত, হাড়, মাংস, গিলে ভালোবাসার কথা লিখতে গিয়ে দেখি কলমের কালি শেষ সে থেকে তোমায় ভাসিয়ে এলাম গঙ্গায় আজ থেকে শূন্য এই চরাচর আমি ছিলাম, আমি আছি, স্রোতে ভেসে গেছে প্রেম এবং অসৎ নিরুপায় বিরহ চিবিয়ে খাচ্ছে আমার মুণ্ড আর দিন-শূন্য, রাত-শূন্য, দিনরাত্রি-শূন্য আমার বুক গাইছে বিরহের সঙ্গীত

নারী তুমি

  নারী তুমি আর সহ্য করো না বিষাদ পৃথিবীর কুমন্ত্রণা, চারদেওয়ালে বন্দি থেকে স্বপ্ন গুলো কে দিও না যন্ত্রণা॥ ভাগ্য দোষ বলে বিধাতার ওপর চাপিও না দুঃখের বোঝা, নারী তুমি নিজেই করো নিজের ভাগ্য রচনা॥ বিষন্ন সমাজের লক্ষণ রেখা  ভেদ করিয়া তুমিও সু-শিক্ষা লবে, দশ জনের একজন হবে॥মাথা উঁচু করে বাঁচবে॥ অন্ধকারে সৃষ্টি অন্ধকারে শেষ নহে জীবন, শূন্য ধারা তুমি বিহীন॥ নারী তুমি জগত্ জননী, কখনো মাতা,কখনো কন্যা,কখনো বা রমনী॥ জ্ঞন হইলে জানি নারী তুমি সষ্টার সৃষ্টি, দেশ-দেশান্তর কহে তুমি অলৌকিক শক্তি॥ স্বাধীন দেশে আজও পরাধীন, তোমার স্বপ্ন তোমার ইচ্ছে পরিপূর্ণ সমাজে বড্ড কঠিন॥ তুমি আজও ধর্ষণের শিকার নির্লজ্জ পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে, তাই দুর্গতিনাশিনী রূপে সজ্জিত থাকো আঘাতের বিরুদ্ধে রাস্তা দিয়ে একা হাঁটলে যে সব পুরুষ বলে তোমার অসতী, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হও লিপ্ত,তুমি হও প্রতিবাদী॥ ফিরিয়ে আনো তোমার স্বাধীনতা হও ঝাঁসির রানী, শেষ করো অত্যাচারের ঘানি॥ যে সংসারে পূজিত তুমি, সেথা মুর্তিরূপে বন্দি ॥ তুমি বিহীন ছন্নছাড়া ধরণী, তুমি বিহীন অন্ধ সকল পুরুষ,তুমি চোখের মনি॥

দাহ

  রোজ জলে ভাসছে হাজার দেহ খানি॥ গভীর রাতে আরাম্ভ মৃত্যু'র ষড়যন্ত্র॥ রান্না ঘরে ওঠে আগুন ভস্ম নারী॥ দমকা আগুন পাচ্ছে জ্বলে ওঠার মন্ত্র॥ মানবতা নিয়েছে ছুটি- তাই মৃত্যু হাজির শোক-সঙ্গীতে আগুনে পুড়ে কেউ পাচ্ছে মুক্তি॥ কেউ বা গঙ্গার জলে ডুবে॥ না না এটা মুক্তি নয় এটা হত্যা॥ প্রতিদিন দেখছি এই হত্যার বিষন্নতা॥ প্রতিদিন দেখছি বহু কান্না॥ তাই তো বেঁচে থাকতে নিজে কে করেছি অচেনা॥ দু'মুঠো জল চাষ করেছি আগুনের তৃষ্ণা মেটাতে॥ নখ হীন নর কঙ্কাল কে পরাস্ত করে॥

স্বপ্নে দেখা মেয়েটার জীবন

  ভোরের যখন ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে, আমার স্বপ্নে দেখা  মেয়েটা তখনও স্বপ্নে বিভোর হয়ে শুয়ে॥ স্বপ্নে দেখে সংসারের ঘানি টানটে টানটে বাবার মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি, চোখ দিয়ে জল গড়ে ভেসে ওঠে দুঃখী মায়ের মুখশ্রী॥ মেয়েটার তখনও ঘুম ভাঙেনি মধ্যাবৃত্ত সংসারে খুঁজে একটু শান্তি, শূন্যতার মাঝের দিন কাটে তবু স্বপ্নেই থাকে মেয়েটি॥ এবাড়ি ওবাড়ি কাজ করে দু'বেলা পান্তা ভাত জুটে, তবু ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াবে বলে টাকা জোগায় স্বপ্নে॥ মেয়েটির বয়স বেড়ে ওঠছে সংসারের চাপে, গৃহে সুখে নিজেকে ভাসিয়েছে পঞ্চনদে॥ চোখের জলে বালিশ ভিজে,শুধু বালিশ বুঝে তার ব্যার্থতাকে, পুড়ে মরে বিষাদ জ্বালায় হাজার খানা স্বপ্ন নিয়ে॥ মার ক্যান্সাররের টাকা যোগানে কিছু কাল হয় সে নিশাচর প্রানী, দুঃখের কপাল তার দুঃখেই তাহার নিত্য সঙ্গী॥ আবার কোথায় হারিয়ে যায় সবার থেকে, ভাইকে মানুষ করতে টাকার জোগাড়ে॥

অন্তহীন প্রেম

  স্বপ্নের তৈরি চার দেওয়ালে, তোমার নামে ভরতি রক্তের দাগে॥ তার পরেও বেঁচে আছি,ক্ষত বিক্ষত অঙ্গ নিয়ে, একাকী হেঁটেছি রক্ত ঝরা বর্ষনে॥ নিজেকে যতবার রেখেছি অন্ধকারে, তত বার বিছানা ভিজেছে রক্ত ক্ষরণে॥ জলীয় বাষ্পের মতো উড়েছে প্রাণ বায়ু, বেঁচে থাকার লড়াই চলছে দুরুদুরু। তোমার কাছে যাওয়া জন্য যত বার বাড়িয়েছি পা, ব্যথায় ভরতি হৃদয় নড়তে দেয় না। সহ্য হচ্ছে না আর এই যন্ত্রনা, তবু তোমায় ভুলতে পারছি না। তাই পিছিয়ে যেতে চায় শতাব্দীতে, ক্লান্ত পায়ে,হেঁটে হেঁটে প্রেম কে অমর করে॥

ভয়

আমায় ভয় দেখানো সহজ নয়॥ আধুনিক সভ্যতার মানুষ আমি॥ ভুলে যাও ইংরেজ শাসন ভুলে যাও সেই সময়॥ আমি যুবক আমার রক্তে আগুন বেশি॥ আমি প্রতিবাদী সমাজের নক্ষত্র॥ হিংসার আগুনে লাফিয়ে পড়ি জাত-পাত ভুলে॥ তখনি হয় মুণ্ডচ্ছেদ দুই'ভাগ দেহ॥ আবার আসি নরসিংহ রূপে॥ যেখানে শুধু হিংসা আর মারামারি॥ যেখানে কৃষক পুড়ে অনাহারে॥ সেখানেই আমি প্রতিবাদী॥ মগ্ন থাকি নটরাজের নৃত্যে॥ ধর্ম যখন রঙ্গমঞ্চালয়॥ পূর্ণতার আশা নিভে পায় ভয়॥

অস্তিত্ব

  কুয়ো দিয়ে জল তুলতে তুলতে এত নীচে নেমে গেছি জল ছবিও দেখা যায় না ..

জীবনের ভাবসম্প্রসারন

শীতের কোন এক রোদে ফেলে আসা এক উপন্যাসে গা শুকিয়ে নিলাম ঘড়ির কাঁটায় তখন টিকটক টিকটক করে সময় স্রোতে মিশে যাচ্ছে প্রতি প্রহর .. তারপর ঝাপসা চোখে ভেসে আসে চোদ্দ বছরের আগে প্রেমিকা .. এক সময় আমাদের কাল চক্রের উপন্যাস বিক্রি হয়ে যাবে নতুন প্রজন্মের দুয়ারে দুয়ারে .. আর তার বুঝে নেবে আমরাও ভালোবাসি, জীবনে চলার পথে করি ভুল মন ভাঙে শোক বাড়ে ..- আমারা তাকে স্বাগত জানায়, এসো হে নতুন অতিথি তোমায় কুবুল ...

হয়তো সবাই প্রেমিক হতে পারে না

  উঠোনের পাশে গাছের ডালে যখন নতুন পাতায় পাতায় ভরে উঠেছিল তখন লক্ষ্য করে ছিলাম প্রতি ডাল আনন্দে সাজিয়ে নিচ্ছে নিজেকে ।। এবং পাতা ঝরা যাত্রার সময় গাছের সমস্ত পাতা ঝরে যাওয়া পর ।। যখন সূর্য তার তীব্রতা স্বয়ং গাছের ভিতরে মাথা রাখতে চেয়েছিল ।। তখন সময়কে তোয়াক্কা করে গাছ বলেছিল দাগ এবং যুদ্ধেরকথা । হয়তো যৌন প্রেমিক ভেবেই আরো বলেছিল  "খুলতে চায় না আর বন্দ দরজার উঠোন"।। বিরহের জ্বালায় প্রিয় গাছটি ।। ভুলে গিয়েছিল ছেঁড়া কাপড় গায়ে থাকা যায় না জন্মকাল

কাল্পনিক যদিও আমাদের কোন দিনও দেখা হবে না সু

    তুমি বারবার ছুটে আসবে আমার কাছে  আমি পৌঁছে দেবো তোমায় বাড়ির রাস্তা অব্দি তারপর আড়াল চোখে পিছু ফিরে তুমি ছুটে এসে দাঁড়াবে আমার চলে যাওয়া পথে  তোমায় বারবার ফিরিয়ে দিতে দিতে       একসময়- জড়িয়ে ধরে ভালোবেসে নেবো ।। তোমায় বারবার হারিয়ে ফেলবো বলেই

সংগ্রহ করা ব্যর্থতা

  আজ থেকে কয়েকটা যুগ আমি তোমার ভিতরেই বাসা বাঁধবো যেমনটা পদ্ম ফুল, জল আর পাঁকের সম্পর্ক বাঁধে যেখানে আকাশের বজ্রপাত মাটিকে দংশন করতে পারবে না ঠিকই তবে কিছু হিংসুটে মানুষ দুমড়ে মুচড়ে যাবে সুন্দর পাতা গুলো তারপর ডাক্তার এসে ইঞ্জেকশন দিয়ে বলবে এখন একটু বিশ্রাম কিছু দিন পর দুর্বল শরীর মাসকাবারির চিন্তায় থাকবে  জানি এসব কথা কোনো দিনও জানতে পারবে না তুমি  বা তোমার কান অব্দি কোনদিনও পৌঁছাবে না তবু লিখছি হাড় হিমশীতে দারুণ ক্ষুধায় চোখ ঝাপসার কিছু সংগ্রহ করা ব্যর্থতা

হস্তমৈথুন ও প্রিয় গণতন্ত্র

  প্রিয় গণতন্ত্র, আমি চুপচাপ শুয়ে আছি তোমার পায়ের নিচে একা ।। এঁটোকাঁটা খাচ্ছি, আপনি বললেই আমি ঘেউ ঘেউ ডাক শুরু  করছি ।। নোংরা জামা কাপড় পরছি, পোকামাকড়ে গিজগিজ করে ওঠা সাম্রাজ্যে ।। বিশ্বাস করুন ধর্ম অবতার এসব ছেড়ে পালাতে চাইছি অনেক দূরে ।। প্রেমেন্দ্র মিত্রের তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের নায়ক ।। কিংবা জীবনানন্দ দাশের মতো প্রকৃতিক প্রেমিক হয়ে ।। তবু বারংবার আপনার তৈরি, বৃত্তের 0 Gravity তে পড়ে যাচ্ছি ।। ততবার একদল মাছি আর গতজন্মের পাপ ছুঁটে আসছে আমাকে লক্ষ্য করে ।। আর আমি ভয়ে ভয়ে বাথরুমের দরজা লক করে ।। হস্তমৈথুন করছি আত্মার নির্শত মুক্তির জন্য

তুমি ভালোবাসতে শেখোনি প্রিয়

  সদ্য ফুটে ওঠা ফুলের কুঁড়ির মতো আমার প্রেম তুমি গাছের থেকে তুলে মাথার খোঁপায় গুঁজে নিলে রাত্রি ঘনিয়ে এলো, এখন তৃতীয় প্রহর দূরের কোনো নদীতে, আমি ডুবে যাচ্ছি আর ডুবেই যাচ্ছি তুমি ভালোবাসতে শেখোনি প্রিয়

নাবিক

  প্রথম প্রেম আশ্চর্য সে অনুভূতি ! আশ্চর্য দহনে সামিল হয়েছি  জমিয়ে রাখা পানি উপচে উঠেছে বুকে আগুনে হেঁটে চলেছি দুইজন, আগুনে দিয়েছি পা, আগুনের পেট কেটে আমি, রক্ত, হাড়, মাংস, গিলে ভালোবাসার কথা লিখতে গিয়ে দেখি কলমের কালি শেষ সে থেকে তোমায় ভাসিয়ে এলাম গঙ্গায় আজ থেকে শূন্য এই চরাচর আমি ছিলাম, আমি আছি, স্রোতে ভেসে গেছে প্রেম এবং অসৎ নিরুপায় বিরহ চিবিয়ে খাচ্ছে আমার মুণ্ড আর দিন-শূন্য, রাত-শূন্য, দিনরাত্রি-শূন্য আমার বুক গাইছে বিরহের সঙ্গীত

জীবনের ভাবসম্প্রসারন

  শীতের কোন এক রোদে ফেলে আসা এক উপন্যাসে গা শুকিয়ে নিলাম ঘড়ির কাঁটায় তখন টিকটক টিকটক করে সময় স্রোতে মিশে যাচ্ছে প্রতি প্রহর .. তারপর ঝাপসা চোখে ভেসে আসে চোদ্দ বছরের আগে প্রেমিকা .. এক সময় আমাদের কাল চক্রের উপন্যাস বিক্রি হয়ে যাবে নতুন প্রজন্মের দুয়ারে দুয়ারে .. আর তার বুঝে নেবে আমরাও ভালোবাসি, জীবনে চলার পথে করি ভুল মন ভাঙে শোক বাড়ে ..- আমারা তাকে স্বাগত জানায়, এসো হে নতুন অতিথি তোমায় কুবুল ...

জীবন বিষয়ক

  তিন অক্ষরে শব্দ                           জী                               ব                                 ন উত্তপ্ত গরল ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে আর গলায় ঝুলে পড়ছে- দুর্ভাগ্য গাছের ফুলের কুঁড়ি .. ভুল শুধরে নেওয়ার সংকোচ শুধু ফিরে তাকানো লজ্জা অসহ্য মুন্ডহীন করতলের ভয়ে অন্ধকারে ঘুমিয়ে পড়েছে জীবন .. জী ব ন শব্দটি আসলে বই এর কভার পেজ, তাকে অনুভব করার আগেই সব শেষ হয়ে যায় ..

প্রশ্নমালা

  ধরে নাও তুমি ওপাড়ার মেয়েটি অসহায়, অচ্ছুত, কালো .. সারা জীবন ঠকে এসেছো বিশ্বাস করে করে ... এখন সে ভয় পেয়েছে, হারিয়ে গেছে সবি হঠাৎ তুমি উপস্থিত হলে তার দরজায় আর তোমার দুঃখের নীল নদ ভাসিয়ে দিলে মেয়েটির বেদনার ভিতর ... সেই সুযোগ খুঁজে নিলে মুক্তো ঝিনুক .. তারপরেও কি সবার মতোই তাকে দুঃখের নদে ভাসিয়ে যাবে ??

প্রত্যাশা

    পুরুলিয়া প্রত্যন্ত গ্রামে যে ফ্যাকাশে অন্ধকারে প্রতিটি শিশুর চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছে যোগাযোগহীন পাশাপাশি বাড়ির ছাদ মরচে পড়া লাঙ্গল, ধান চাষের জমি, আবাদের গান শূন্যতায় ভেসে বেড়াচ্ছে হাঁড়িতে ভাত না থাকা ভারাক্রান্ত বাবার হৃদয় বাইরে থাকা ছেলের অপেক্ষায় শাড়ির আঁচল ভিজিয়ে ফেলছে মা সে পথের রাঙা ধূলোর প্রতিটি ধূলিকণায় বেজে ওঠুক আনন্দের বাউল গান

আমার দেহ এক মস্ত সমুদ্র

আমার দেহ এক মস্ত সমুদ্র  আমার দিকে তাকালেই তুমি দেখতে পাবে                                     পচা জলাশয়ে মৃত স্মৃতি  চোখে দিয়ে বয়ে আসে                             অসংখ্য নদী উপনদী।। উদাসি বাতাসে ফিরে আসে  ছিঁড়ে খাওয়া গাঙচিল,  উড়ে যায় শরীরের  সাধ নিয়ে -                                               জ্বালিয়ে বিরহের আগুন 

শিরোনামহীন শব্দ গুলো

  এইরকমই মেঘলা দিনে মৃত্যু হবে আমার ।সারাদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি হবে সেদিন । গাছে গাছে প্রচুর হাওয়া বইবে ঝড় উঠবে বুকে বেহিসেবি । সমস্ত সুখ দুঃখ মিলে কুয়াশায় ঢাকবে এ জীবন  দোয়েল ফিঙ্গে বা ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আসবে না  আমার  কানের কাছে । এঘর থেকে সেঘর সমস্ত দরজা গুলো বন্দ করবো ভয়ে ভয়ে  তবু । হু হু করে বাতাসে বয়ে আসবে মৃত্যুর ধ্বংস শিখা বুকে ভিতর জমে থাকা । ঘন্টার ধ্বনি বেজে উঠবে  "কেমন আছো তুমি" দাবানলের চাপা পড়া । আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠবে মনের ভিতর । জমা অভিমানের সমস্ত পাতা গুলো পুড়ে ছাই হবে । অথচ আমার হারানো কিছুই নেই শুধুই তোমার সাথে কাটানো স্মৃতি ছাড়া । এক নিমেষে মনে হবে নদী সমুদ্রের জন্য মানুষ মানুষের জন্য  অন্ধকার রাতের জন্য । আর তুমি আমার কবিতার জন্য উথাল পাথাল টেউ উৎসর্গ বুদ্ধদেব হালদারকে

গাছ

  ঠাকুমা আর ঠাকুরদা মিলে বাড়ি উঠোনে একটি গাছ পুঁতে গেছে দীর্ঘকাল আগে এখন গাছটা পাহাড়ের মতো বড় হয়ে ফলফুল ডাল পালায় দীর্ঘ বিস্তার করেছে আমি আর ভাই মিলে সকালের ঘ্রাণ থেকে আমাদের সমস্ত প্রয়োজনী তুলেনিই শেকড় টুকু বাদে । জানি শেকড় কেটে নিলে আমরা সর্বহারা হয়ে পড়বো হঠাত্ একদিন দেখি দিনের পর দিন রোদের প্রখর তাপে দাঁড়িয়ে থেকে থেকে গাছটার ভিতরে ফুটে উঠছে  প্যারালাইসিস বাবার প্রতিচ্ছবি

অসুখের নাম আমার ঈশ্বর

  মা'র হাতে তালের বড়া ভাজা গন্ধে মৌচাকের মধুর ঘ্রাণ নিয়ে আসছে আমি একটার পর একটা তালের বড়া ভাজা তুলে কামড় বসাচ্ছি আর থেঁতলে ফেলছি ওই তালের ইতিহাস তোমার হয়তো আজ ভীষণ মন খারাপ আমি গতছয়জন্ম থেকে বাতাসের ফিশফিশ শব্দ শুনতে পাই

ঘুমের ঘোরের কথা

হাজার বছর রাত জাগা ঘুমের ভিতর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এবং দুচারটে মশা কানের কাছে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে উড়ে যাচ্ছে আর আমার মতোই কেউ এসে আমার কানে কানে বলছে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এখন কবি হয়ে ওঠেছে ঠিক এইভাবে সংলাপ শুরু হতেই দারুণ আনন্দে উত্তেজিত হয়ে হাত বাড়িয়ে নিজের গালে চুম খেতে খেতে বলছি, "শুনেছো অপরাজিতা" - "সাহিত্য কবিদের কবিতার চাহিদা ঠিক কতটা।"

আরো একবার তোমার কাছে হেঁটে যেতে যেতে ২

                            ছিঁড়ে যাওয়া শিকা মানে অকেজো ছিল সেদিন মেয়েটির মনে ছেলেটির ভবিষ্যত্ ছিল অন্ধ গাছের শেকড় কারণ ছেলেটি তখনও বেকারত্বে ভুগে  মেয়েটি বাড়ন্ত বয়স তাল গাছ ছুঁয় ছুঁয় তাই ছিঁড়ে ফেলে যেতে হল  ছেলেটির স্বপ্নের ঘর বোনা কাশ ফুল ছেলেটির বুকে তখন শূন্যতার বিক্ষোভ মেয়েটি খিস্তি করে স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া ছেলেটিকে ঘুমের ঘোরে  সে ছেলেটি প্রিয় মানুষটিকে মনে করে কাঁদে                     আর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে

পাহারাদার

  অন্ধকার যে ভাবে গিলে নেয় অন্ধ গলির চৌরাস্তা । তোমার আমার পথের মাঝে সেই ভাবে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়, তোমার বাবার ভাড়াটে রিকশাওয়ালা........

নিয়তি

  যতটুকু ছিল ভূ-পৃষ্ঠের উপরে রূপকথার অপ্রকাশিত শব্দ সব ভেঙে গেছে -                             মৃত্যু ও পাহাড়ের দীর্ঘশ্বাস শব্দবুনা শ্রমিকের হাতুড়ির আঘাতে

ভিন্ন দেশ

  তুমি আর আমি ভিন্ন দুটো দেশ আমাদের মাঝে বয়ে গেছে একটি নদী তাই আমরা কখনও এক হতে পারি না।।

সংসার

প্রতিবার আভিমানের পর, তোমার মুখ ফিরিয়ে চলে যাওয়া একটি বিচ্ছেদ                       দীর্ঘশ্বাস                         শুকনো ঝর্ণা ক্ষয়ে নদী হওয়ার গল্প  বিকল্প হয় না 

সুখ তুমি যাও

  আমার একদিন ভীষণরকম জ্বর হয়েছিল- বুকের ভিতর অর্ধেক রাজ্যপট মধ্যরাতে আলোয় জ্বলতে,জ্বলতে                                                   দেখি                                                           তনুয়ে ঘাপটি মেরে শুয়ে আছে - ডানা কাঁটা পাখি সুখ তুমি যাও                   ফিরে যাও আজ জনম দুখিনীর গৃহে আমি মাথা নিচু করে ফিরে যাই  শূন্যতার উপত্যকায়                          যে মেরে ফেলেছে আমার দীর্ঘজীবিত আয়ু

প্রেম বিহীন বসন্ত

  যে বসন্ত বুক পাঁজরে জন্মাতে পারে না প্রেমের আলো ছিঁড়ে খাওয়া জীবনে চতুর্দশীর অন্ধকারে ডাকে শুষে নেয় কর্কশ রোদ্দুর দূর্বা ঘাসের শিশির  গোপনে আঘাত করে চলে বিষের খঞ্জর  সে বসন্ত আমার প্রেমিকা নয়।

বিরহ

  যে বান্ধবী পথ চেয়ে'চেয়ে চোখে জন্মায় কালশিটে ক্ষত আমি তাকে বিরহ বলি

অবশেষে

ব্যর্থতা মাঝে মাঝে আমায় ভীষণ কাঁদায় একীত্বে ডুবে থাকি নদী বয়ে যায় পাড়ায় আমার বিষ দাঁত, আমার ভিতরে, বাহিরে, অন্তরে । যন্ত্রণা আমায় ভীষণ কাটে । সারারাত বুকে ভালোবাসার ধ্বনি কেঁদে কেঁদে ওঠে তোমায় দেখার জন্য, তোমার দিকে লক্ষ্য করে ছুটে চরণ-রেখা ব্যর্থ প্রেমিক, একটু জল, একটু তাপ, সম্বল কেবল ধোঁয়ায় রাত্রি আমাকে ভালোবাসে । তাই জেগে থাকি সারারাত । কি আশ্চর্য, যে একবার দূরে চলে যায় সে হারিয়ে যায় । অথচ আমাকে ঠুকরে খাচ্ছে অর্ধভুক্ত শূর্পণখার দেশের লোক আজও হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে তুমি - আমার এই দহনে হাতে-হাত রেখে যদি শামিল হতে বলি